হাঙ্গেরি, মধ্য ইউরোপের একটি আধুনিক দেশ, বাংলাদেশিদের জন্য কাজের নতুন সুযোগ নিয়ে আসছে। কিন্তু হাঙ্গেরিতে কাজ করতে যাওয়ার আগে আপনার মাথায় কিছু প্রশ্ন থাকবে:
হাঙ্গেরিতে বেতন কত? ভিসার খরচ কত? কোন কাজের চাহিদা বেশি?
এই নিবন্ধে, আমরা হাঙ্গেরিতে কাজের বেতন, ভিসার খরচ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং কাজের চাহিদা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করব। আমাদের গাইডটি আপনাকে সঠিক প্রস্তুতি নিতে এবং হাঙ্গেরিতে সফলভাবে কাজের ভিসা পাওয়ার পথ দেখাবে।
হাঙ্গেরি বেতন কত?
হাঙ্গেরিতে কাজের বেতন বর্তমানে বেশ ভালোই হয়েছে। সাধারণত, একজন কর্মীর মাসিক বেতন বাংলাদেশি টাকায় ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে থাকে। তবে, ওভারটাইম করলে এই বেতন আরও বেড়ে যেতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা থাকলে বেতন ১ হাজার ৫০০ ইউরো থেকে ২ হাজার ইউরো পর্যন্তও হতে পারে। এর মানে, বাংলাদেশি টাকায় ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
হাঙ্গেরির প্রধান শহরগুলোতে, যেমন বুদাপেস্ট, বেতন কিছুটা বেশি হতে পারে। এখানে শ্রমিকদের মাসিক বেতন ১ লাখ ৭০ হাজার ফরিন্ট থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার ফরিন্ট পর্যন্ত হতে পারে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৬ হাজার থেকে ৭৬ হাজার টাকার মধ্যে পড়ে।
বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরি যেতে কত টাকা লাগে?
হাঙ্গেরিতে যাওয়ার খরচ বেশিরভাগ মানুষের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরিতে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে হলে সাধারণত ১০ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা খরচ হয়।
তবে, ভিসার ধরন এবং অন্যান্য খরচের ওপর নির্ভর করে এই পরিমাণ কিছুটা কমবেশি হতে পারে।
স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে হলে খরচ কিছুটা কম হবে, সাধারণত ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। এছাড়া, টুরিস্ট ভিসায় হাঙ্গেরি গেলে খরচ হবে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা।
হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রাপ্তির জন্য ২০২৪ সালে কিছু পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে, কাজের ভিসা পাওয়া একটু কঠিন হতে পারে।
তবে, যদি আপনি সরকারি এজেন্সি বা বৈধ মাধ্যম ব্যবহার করেন, তাহলে ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ হবে। সাধারণত, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে সর্বোচ্চ ৩ মাস সময় লাগতে পারে।
হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট পেতে কত দিন লাগে?
হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে সাধারণত ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগে। ভিসার কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর, আপনি ২ মাসের মধ্যে হাঙ্গেরি চলে যেতে পারবেন। তবে, প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য কিছু ক্ষেত্রে সময়ের পার্থক্য থাকতে পারে।
হাঙ্গেরিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
হাঙ্গেরিতে কিছু কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে নিম্নলিখিত কাজগুলির জন্য সেখানে চাহিদা বেশি:
- ড্রাইভার: হাঙ্গেরিতে বিভিন্ন ধরণের ড্রাইভারদের চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে ট্রাক ও বাণিজ্যিক গাড়ির জন্য।
- কনস্ট্রাকশন শ্রমিক: নির্মাণ কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের শ্রমিকের প্রয়োজন হয়।
- হোটেল ও রেস্টুরেন্ট কর্মী: হোটেল ও রেস্টুরেন্টে সার্ভিস ও ম্যানেজমেন্ট পদের জন্য কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়।
- ইলেকট্রিশিয়ান: বৈদ্যুতিক কাজের জন্য অভিজ্ঞ ইলেকট্রিশিয়ানদের চাহিদা রয়েছে।
- ক্লিনার: অফিস, হোটেল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ক্লিনিং সার্ভিসের জন্য কর্মী প্রয়োজন হয়।
এই কাজগুলোতে নিয়োগ পেলে ভালো বেতন এবং সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। হাঙ্গেরিতে এ ধরনের কাজের জন্য দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে ভিসার প্রক্রিয়া সহজ হতে পারে।
হাঙ্গেরি ভিসা রিলেটেড প্রশ্ন
১. হাঙ্গেরি সর্বনিম্ন বেতন কত?
হাঙ্গেরির সর্বনিম্ন মাসিক বেতন সাধারণত ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা হয়।
২. হাঙ্গেরি সপ্তাহিক সর্বনিম্ন বেতন কত?
সাপ্তাহিক বেতন নির্ভর করে কাজের ধরণের ওপর। তবে, একজন শ্রমিক সপ্তাহে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারে।
৩. হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত?
হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ বর্তমানে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা হতে পারে।
৪. হাঙ্গেরি যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে?
হাঙ্গেরি যেতে হলে আপনার বৈধ পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, হাঙ্গেরি ভিসা আবেদন পত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন।
৫. হাঙ্গেরি ভিসা পেতে কতদিন লাগে?
হাঙ্গেরি ভিসা পেতে সাধারণত সর্বোচ্চ ৩ মাস সময় লাগে।
৬. হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট পেতে কত দিন লাগে?
হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে সাধারণত ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগে।
Pingback: তুর্কি সাইপ্রাস বেতন কত ২০২৪ - Digital Hub